
এস.আজাদ,উখিয়া নিউজ ডটকম::
ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে আপনারা আত্মীয়তা করবেন না, তাঁদেরকে সমাজচ্যুত করুন। কারণ তাঁরা আমাদের মাতৃভূমি শত্রু। এদেরকে মন থেকে ঘৃণা করতে হবে। যারা একসময় দিনে এনে রাতে খেতো তারা আজ কোটি টাকার মালিক। যাদের ঘরবাড়ি ছিলনা, তাঁদের আজ বহুল ভবন মালিক। এ ব্যবসা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে অনেকে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে। মাদক, ইয়াবা ও চোরাচালান ব্যবসা দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর। এ ব্যবসা করে গুটি কয়েক লোকজন লাভবান হলেও বেশির ভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ। ইয়াবা বহন করতে গিয়ে নিরহ যুবকরা দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্ধি অবস্থায় মানবেতর দিন যাপন করছে। অথচ গডফাদাররা এসি রুমে ঘুমাচ্ছে। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃংখলা বাহিনী ইয়াবা ও মাদক দ্রব্য উদ্ধার করলেও গডফাদারদের গ্রেফতার করছেননা। গডফাদাররা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাওয়া ইয়াবা পাচার বন্ধ হচ্ছেনা। এসময় বক্তারা প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনারা যদি স্বচ্ছ মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে ১৬জন গডফাদারকে ক্রসফায়ার দিয়ে ১৬কোটি মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন।
না হয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ২০২১সালে উন্নত বিশে^র রাষ্ট্রের খাতায় নাম লিখাতে ব্যর্থ হব। অন্যান্য ইউনিয়নের চেঁয়ে জনপ্রতিনিধি’র উপস্থিতি বেশি হওয়ায় বক্তারা তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টায় উখিয়ার সোনারপাড়া অনুষ্ঠিত বিশাল মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও মাদক, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ আলম চৌধুরী প্রকাশ রাজা শাহ আলম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, ভারপ্রাপ্ত উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ছেনুয়ারা বেগম, উক্ত প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কবি আদিল উদ্দিন চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, শহর আওয়ামীলীগ নেতা সোনালী, জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি সুলতান মাহামুদ চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাশেল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছৈয়দ মোহাম্মদ নোমান, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা যথাক্রমে গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, রশিদ আহমদ, আবুল কাশেম বাবুল, মাষ্টার শামসুল আলম ভুলু, মাষ্টার হামিদুল হক, মুক্তিযোদ্ধা আবু, মোঃ কালু, রাজা মিয়া মেম্বার, আবুল ফজল, আব্দুল গফুর মেম্বার, ইউপি সদস্য যাথাক্রমে মোজাম্মেল হক, আবু মুছা, নাজিম উদ্দিন, মুফিজ উদ্দিন, রফিক উদ্দিন, শামশুল আলম, মনির আহমদ, আবুল কালাম, মলকা বানু, রাজাপালং ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মোছলেহ উদ্দিন, উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দ হোছন, রাজাপালং ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ শেখর, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন আবু, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান সাজু, প্রমূখ।
পাঠকের মতামত